1. admim@mystiqueapi.com : admim :
  2. admin@52bangla.com : admin :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

ফতুল্লা লঞ্চঘাটে যাত্রীকে নাজেহাল,থানায় অভিযোগ দায়ের

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ফতুল্লা মডেল থানা হতে মাত্র ৫ শত গজ দূরে ফতুল্লার ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাটটি। আর এই লঞ্চঘাটের ইজারাদারের খামখেয়ালী অতিরিক্ত টোল আদায়ের শিকার ও রোসানলে পরতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত দক্ষিনাঞ্চলের লঞ্চ ভ্রমনের যাত্রীদের। এ যেন দেখার কেউ নেই, প্রশাসন এর নাকের ডগাই ঘাট ইজারাদারেরা রামরাজ্যত্ব চালাচ্ছে বলে দাবী যাত্রী সাধারনের।

ইজারাদারেরা ঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক টোল আদায় করে আসছে বলে যাত্রী সাধারন জানান। একটি হাসঁ বা একটি মুরগী নিয়ে আসলেও গেলে তাদের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৮০ টাকা টোল আদায় করে নেয়। ফতুল্লার লঞ্চ ঘাটে মালিকের চেয়ে চামচার পরিমান বেশি, কোন যাত্রী অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে ঘাটের পালিত চামচারা নাজেহাল করে তুলে। টোল আদায়কারী কর্মচারী তোষামোদি কালাম ওরফে বরিশাইল্লা কালামের দাপট নাকি একটু বেশি। ফতুল্লা লঞ্চঘাটের অতিরিক্ত টোল নেয়ায় এবং নাজেহাল হলেও দক্ষিনাঞ্চলের গরিব অসহায় যাত্রী বিদায় তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে হচ্ছে। আর কারো কাছে টাকা না থাকলে তাদের হাত থেকে রেখে দেয় হাসঁ-মুরগী এমন অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।

এব্যাপারে কুয়েত প্রবাসী এবং এস.এ টেলিভিশনের কুয়েত প্রতিনিধি ও ফতুল্লা রিপোটার্স ইউনিটির কার্য্যকরী সদস্য মোঃ সেলিম হাওলাদার জানান, ভোর সকাল অনুমান ৪.২০ মিনিটের সময় বরিশাল জেলার আমার আত্মীয়ের বাড়ী হইতে আমার পরিবারের লোকজন বেড়ানো শেষে লঞ্চ যোগে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে আসে ঘাট হইতে বাহির হওয়ার সময় ঘাটে থাকা ঘাটের টাকা উত্তোলনকারীরা ৪/৫ জন আমার পরিবারের লোকজনের সাথে থাকা একটি হাসের জন্য ৬০ টাকা দাবী করায় এমতাবস্থায় আমার পরিবারের লোকজন অজ্ঞাতনামা টোল আদায়কারীর নিকট ঢোলের রিসিট চাহিলে তারা আমার পরিবারের লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া তাহাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এরইমধ্যে আমি ঘাটে উপস্থিত হইতে বিষয়টি আমার পরিবারের লোকজনের নিকট জানিতে পারিয়া তাদের নিকট এহেনকার্যকলাপের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে এবং ঢোলের রিসিট দেখানোর জন্য বলিয়া আমার পরিচয় প্রদান করিলে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে আরম্ভ করে।

এহেনকার্যকলাপ আমি আমার মোবাইলের ভিডিও ধারণ করিলে তারা আমার উপর আরও ক্ষিপ্ত হইয়া আমার নিকট হইতে আমার মোবাইলটি জোর পূর্বক নিয়া গিয়া মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওটি ডিলেট করিয়া ফেলে এবং আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। খোঁজ নিয়া জানিতে পারি যে, ঘাটে থাকা টোল আদায়কারী অজ্ঞাতনামা ঘাট কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে কোন প্রকার রিসিট ছাড়াই জোর জবন্তি বিভিন্ন যাত্রীদের নিকট হইতে তাহাদের ইচ্ছা ও দাবীকৃত টাকা আদায় করিয়া থাকে এবং আমার পূর্বেও একাধিক লোকজনের সহি এরূপকার্যকলাপ করিয়াছে।

অপর দিকে শরিফ মৃধা জানান, আমি একটি বস্তায় লেপ তোষক এবং আরেকটি বস্তায় ব্যবহৃত কাপড় চোপড় নিয়ে আসি ,আমার কাছে ৪শ টাকা চাওয়া হয় পরে অনুনয় বিনয় করে ২৫০টাকা দিয়ে মালমাল নিয়ে ঘাট থেকে সড়কে উঠি।
আমতলী থেকে আসা করিমন নেছা (৪২) জানান, আমি একটি রাজহাঁস ও একটি মুরগী আনি আমার কাছ থেকে ১৫০টাকা রেখেছে।

গলাচিপার আমখোলা গ্রামের করিম হাওলাদার (৫৫) জানান, তিনি মদিনা হার্ডওয়াডের দোকান থেকে দুইটি ড্রাম কিনে গ্রামে পাঠায়। তার কাছ থেকে ২০০টাকা টোল নিয়েছে ঘাট মালিকরা। মাত্র সাড়ে ৮ শ টাকার ড্রামে ২০০ টাকা ঘাটে টোল দিতে হলো তাহলেই বুঝেন তাদের ব্যবহার কত ভালো এমনটাই বললেন করিম হাওলাদার । আবুল কাশেম (৫২)পটোয়াখালীর লঞ্চে গ্রামের বাড়ি থেকে ২০ কেজি চাউল নিয়ে আসেন। তার কাছে ৩শ’ টাকা চায় টোল আদায় কারী কর্মচারীরা । সে অনুনয় বিনয় করে ২শ টাকা দিয়ে ঘাট থেকে মালামাল নিয়ে বের হয়, তার সাথে স্ত্রী সন্তান থাকায় সে কোন প্রতিবাদ না করে চলে যায় তার বাসায়।

অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরে আযম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। সাংবাদিক সেলিম সাহেব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন কি বলে দেওয়া হয়েছে কাল থেকে টোল আদায়ের নির্ধারিত মূল্য তালিকা বড় করে ঘাটে টানিয়ে দিতে হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It